গরমে চুলের যত্ন নিবেন কিভাবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
ষড় ঋতুর দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। আমাদের দেশে আবহাওয়ার দিক দিয়ে ছয়টি ঋতু বিদ্যমান। প্রতি বছর প্রত্যেকটি ঋতু তার নিজস্ব রূপ নিয়ে হাজির হয়। সব ঋতু থেকে সবচেয়ে ভয়ংকর রূপ নিয়ে হাজির হয় গ্রীষ্মকাল।
শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনের ব্যবহারঃ- চুলের শ্যাম্পু ব্যবহার করলে কন্ডিশনার ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরী। কারণ শ্যাম্পু চুলের ধুলাবালি দুর করে এবং কন্ডিশনার চুলের মসৃণতা বৃদ্ধি করে চুলকে ভেঙে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। তবে কন্ডিশনের ব্যবহারের সময় অবশ্যই চুলের গোড়া থেকে ১ ইঞ্চি উপরে থেকে ব্যবহার করা ভালো।
চুলের যত্নে তোয়ালের ব্যবহারঃ- গোসল করার পর অথবা চুল হওয়ার পরে গামছা বা অন্য কাপড় ব্যবহারের পরিবর্তে নরম তোয়ালে ব্যবহার করা চুলের জন্য উপকারী। কারণ অনেকে চুল মোছার সময় অনেক বেশি চেপে চেপে চুল মুছে থাকে।
চুলে হিট দিয়ে চুল শুকানোঃ- অনেক অনেক সময় চুল শুকানোর জন্য চুলার তাপ বা হেয়ার ড্রায়ার মেশিন ব্যবহার করে থাকেন। তাপ দিয়ে চুল শুকাতে গেলে চুল ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাছাড়া অতিরিক্ত তাপে চুল জ্বলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই হিট দিয়ে চুল না শুকানোর উত্তম।
চুলে নিয়মিত তেলের ব্যবহারঃ- চুলে নিয়মিত তেল ব্যবহার করা উচিত। এতে চুলের গোড়া অনেক শক্ত হয়। তবে অতিরিক্ত তেল দেওয়া চুলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই পরিমাপ মতো চুলে তেল প্রয়োগ করতে হবে।
চুলের যত্নে স্বাস্থ্যকর খাবারঃ- চুলের সঠিক যত্নের জন্য পরিমিত ও পরিমাণমতো স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অভ্যাস। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। এতে শরীর সুস্থ থাকলে চুল সুস্থ থাকবে।
হেয়ার প্যাকঃ- এই হেয়ার প্যাকটি বানানোর জন্য প্রয়োজন ১টি পাকা কলা, ২ চা চামচ মধু, ২ চা চামচ অলিভ অয়েল এবং ১টি ডিম।
প্রথমে পাকা কলাটিকে ভালো করে ছিলে নিয়ে এমন ভাবে চটকে নিতে হবে যেন কোন দানা না থাকে। এরপর এতে একে একে মধু এবং অলিভ অয়েল মেশাতে হবে। সবশেষে ১টি ডিম ফাটিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
হেয়ার প্যাক ২ঃ- এই হেয়ার প্যাকটি বাড়ানোর জন্য প্রয়োজন প্যারাসুট হেয়ার অয়েল ২ টেবিল চামচ, মধু ১ টেবিল চামচ এবং পেঁয়াজের রস ১ টেবিল চামচ।
সবগুলো উপাদান ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে মাথায় ব্যবহার কর মত একটি তেল তৈরি করতে হবে। এটি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করা যায়। তেলটি দেওয়ার পরে ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এই দিনটি চুলের গোড়ার জন্য এবং চুলের জন্য অনেক উপকারী।
এতক্ষণ ধরে আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আরো বিভিন্ন বিষয় জানতে হলে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে ফলো দিয়ে রাখুন এবং আপনার পরিচিত জনের সাথে শেয়ার করুন।
ধন্যবাদ
পোস্টসূচীপত্রঃগ্রীষ্মকাল এমন একটি ঋতু যে সময় মানুষের কলিজা শুকানোর মতো গরম নিয়ে আমাদের দেশে হাজির হয়। আরে গ্রীষ্মকাল আসলে মানুষকে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই এই গ্রীষ্মকালে শারীরিক যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আজকে আমরা গ্রীষ্মকালে চুলের যত্ন নিয়ে আলোচনা করব।
ভুমিকা
চুল মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্য বর্ধনের এক অনন্য উপাদান। চুল মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই চলে যত্ন নিতে হলে আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম কারণ মেনে চলতে হবে। চুলের যত্নে প্রাকৃতিক জিনিসপত্র ব্যবহার করলেই চুল ভালো থাকে। তবে বর্তমান সময়ে অনেক ধরনের কৃত্রিম উপাদান বের হয়েছে যেগুলো চুলের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।গরমকালে চুলের উপর ক্ষতিকর প্রভাব
গরমকালে চুলের উপর অনেক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। গরমকালে চুল নিয়ে কমবেশি সবাই সাফারিং করে। গরমকালে চুল নিয়ে সমস্যার মধ্যে পরে হচ্ছে- চুল ঝরে যাওয়া
- চুল পেকে যাওয়া
- চুলের গোড়ায় ড্যানড্রাফ তৈরি হওয়া
- অতিরিক্ত গরমে চুলের রং নষ্ট হওয়া
- অতিরিক্ত গরমে চুলের নিচে তাকে চুলকানি সৃষ্টি হওয়া
- অতিরিক্ত গরমে এরকম আরো অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
চুল পড়া সমস্যা
চুল পড়া সমস্যা ছেলে-মেয়ে কমবেশি উভয়েরই হয়ে থাকে। গরমকালে এর প্রভাব আরও বেশি বৃদ্ধি পায়। অনেকে না জেনে চুলের ওপর নানা ধরনের এক্সপেরিমেন্ট করে চুলের আরো বারোটা বাজিয়ে দেয়। তাই গরম কালে চুল পড়ার সমস্যা সম্পর্কে ভালো হয়ে জেনে তারপরে চুলের যত নেওয়া উচিত।গরমকালে চুল পড়ার সমস্যার সমাধান
সঠিক পদ্ধতিতে শ্যাম্পু ব্যবহারঃ- আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কাজে বাইরে যাতায়াত করি। বাইরে ঘোরাফেরা করার সময় ধুলাবালি আমাদের চুলে জমে যায়।তাই চুলের ধরন অনুযায়ী ভালো মানের শ্যাম্পু এবং ব্যবহার করতে হবে।শ্যাম্পু করার সময় হাতের আঙ্গুল দিয়ে ভালো করে মেসেজ করে ও চলে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। বেশি ধুলা থাকলে দুই বার শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। এভাবে সপ্তাহে ৩/৪ দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত।
শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনের ব্যবহারঃ- চুলের শ্যাম্পু ব্যবহার করলে কন্ডিশনার ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরী। কারণ শ্যাম্পু চুলের ধুলাবালি দুর করে এবং কন্ডিশনার চুলের মসৃণতা বৃদ্ধি করে চুলকে ভেঙে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। তবে কন্ডিশনের ব্যবহারের সময় অবশ্যই চুলের গোড়া থেকে ১ ইঞ্চি উপরে থেকে ব্যবহার করা ভালো।
চুলের যত্নে তোয়ালের ব্যবহারঃ- গোসল করার পর অথবা চুল হওয়ার পরে গামছা বা অন্য কাপড় ব্যবহারের পরিবর্তে নরম তোয়ালে ব্যবহার করা চুলের জন্য উপকারী। কারণ অনেকে চুল মোছার সময় অনেক বেশি চেপে চেপে চুল মুছে থাকে।
এটা করা একদম ঠিক নয় কারণ, এতে বারবার ঘর্ষণের ফলে চুল তার সুস্থতা হারিয়ে ফেলে এবং এদের চুল ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যতটা সম্ভব নরম তোয়ালে দিয়ে চুল মোছা বাঞ্ছনীয়।
চুলে হিট দিয়ে চুল শুকানোঃ- অনেক অনেক সময় চুল শুকানোর জন্য চুলার তাপ বা হেয়ার ড্রায়ার মেশিন ব্যবহার করে থাকেন। তাপ দিয়ে চুল শুকাতে গেলে চুল ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাছাড়া অতিরিক্ত তাপে চুল জ্বলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই হিট দিয়ে চুল না শুকানোর উত্তম।
চুলে নিয়মিত তেলের ব্যবহারঃ- চুলে নিয়মিত তেল ব্যবহার করা উচিত। এতে চুলের গোড়া অনেক শক্ত হয়। তবে অতিরিক্ত তেল দেওয়া চুলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই পরিমাপ মতো চুলে তেল প্রয়োগ করতে হবে।
বর্তমান সময়ে বাজারে চুলে দেওয়ার জন্য নানা ধরনের তেলের আবির্ভাব ঘটেছে। আপনারা চাইলে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে - আমন্ড অয়েল, আমলা ওয়েল, ক্যাস্টর অয়েল, অলিভ অয়েল, কোকোনাট অয়েল ইত্যাদি।
চুল পরিষ্কারের ঠান্ডা পানিঃ- চুল ধোয়ার সময় বা গোসল করার সময় কখনো ঠান্ডা পানির বিকল্প নেই। গরম পানি ব্যবহার করলে চুলের অনেক ক্ষতি হতে পারে। তাই সব সময় ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধোয়া উচিত। শীতকালে অনেকে গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে থাকে। এমনটা করলে স্কুলের গোড়া ড্যামেজের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
চুলের যত্নে স্বাস্থ্যকর খাবারঃ- চুলের সঠিক যত্নের জন্য পরিমিত ও পরিমাণমতো স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অভ্যাস। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। এতে শরীর সুস্থ থাকলে চুল সুস্থ থাকবে।
চুল পড়া রোধে হেয়ার প্যাক এর ব্যবহার
বর্তমান সময়ে চুলে ব্যবহার্য অনেক হেয়ার প্যাক বাজারে পাওয়া যায়। তবে সেগুলো চুলের জন্য খুব বেশি উপকারী নয়। তার চেয়ে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে বাড়িতে হেয়ারপ্যাক তৈরি করে চুল লাগানো উত্তম।
হেয়ার প্যাকঃ- এই হেয়ার প্যাকটি বানানোর জন্য প্রয়োজন ১টি পাকা কলা, ২ চা চামচ মধু, ২ চা চামচ অলিভ অয়েল এবং ১টি ডিম।
প্রথমে পাকা কলাটিকে ভালো করে ছিলে নিয়ে এমন ভাবে চটকে নিতে হবে যেন কোন দানা না থাকে। এরপর এতে একে একে মধু এবং অলিভ অয়েল মেশাতে হবে। সবশেষে ১টি ডিম ফাটিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
এরপর মিশ্রণটি চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত একটি মোটা দাঁতের চিরুনির সাহায্যে আচড়ে পুরো চুলে ভালোভাবে লাগাতে হবে। মিশ্রণটি চুলে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা তুলে লাগিয়ে রাখতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
তারপর চুলে ভালভাবে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। তারপর আবার ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণটি সপ্তাহে অন্তত একদিন ব্যবহার করা উচিত।
হেয়ার প্যাক ২ঃ- এই হেয়ার প্যাকটি বাড়ানোর জন্য প্রয়োজন প্যারাসুট হেয়ার অয়েল ২ টেবিল চামচ, মধু ১ টেবিল চামচ এবং পেঁয়াজের রস ১ টেবিল চামচ।
সবগুলো উপাদান ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে মাথায় ব্যবহার কর মত একটি তেল তৈরি করতে হবে। এটি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করা যায়। তেলটি দেওয়ার পরে ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এই দিনটি চুলের গোড়ার জন্য এবং চুলের জন্য অনেক উপকারী।
লেখকের মন্তব্য
আজকে আমরা আপনাদেরকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে গরমে চুলের যত্ন কিভাবে নিবেন সে সম্পর্কে বেশ কিছু ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি সম্পর্কে আপনাদের কিছুটা হলেও ধারণা প্রদান করতে পেরেছি।এতক্ষণ ধরে আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আরো বিভিন্ন বিষয় জানতে হলে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে ফলো দিয়ে রাখুন এবং আপনার পরিচিত জনের সাথে শেয়ার করুন।
ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url