স্ক্রিনশটস,গ্রামাটিক্যাল এরর, কপিরাইটিং এবং Plagiarism সম্পর্কে জানতে বিস্তারিত পড়ুন
বর্তমান সময়ে তথ্য প্রযুক্তিকে ঘিরে অনেক কিছুর উদ্ভাবন হয়েছে এবং দিন দিন এর পরিমাণ বেড়েরি চলেছে। তথ্য প্রযুক্তির এই সময়ে আমাদের অনেক কাজকে আরো সহজ করে উপস্থাপনের জন্য অনেক টেকনিকও উদ্ভাবন হয়েছে।এর মধ্যে কয়েকটি টেকনিক নিয়ে আজকে আমরা কথা বলবো।
পোস্টসূচীপত্রঃযেহুতু টেকনিকের কোনো অভাব নেই। তবে আজকেবামরা কয়েকটি টেকনিক সম্পর্কে জানবো।
স্ক্রিনশট কি
স্ক্রিনশট এমন একটা প্রক্রিয়া যা দিয়ে কোন একটা অ্যাপ বা কোন ফাইলের কোন ডকুমেন্ট পুরোপুরি ছবি না তুলে এর যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু ছবি তুলে অন্য কারো সাথে Share করতে পারি। এমন অনেক সময়ে থাকে যখন খুব ব্যস্ততার কারণে কোন ডকুমেন্টের সম্পূর্ণ তথ্য দিতে পারি না। তখন শর্টকাটে বোঝানোর জন্য আমার স্ক্রিনশট এর ব্যবহার করতে পারি।
একটা ছবি কারো সাথে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু Share করতে হলে বা ডেস্কটপ থেকে কোন তথ্য জরুরী প্রয়োজনে পাঠাতে হলে যতটুকু রাখা প্রয়োজন শুধু ততটুকুই স্ক্রিনশট নিয়ে Share করতে পারি।একটা ওয়েবসাইটে যখন কোন একটা বিষয়ে আর্টিকেল লিখার সময় যদি আপনার মনে হয় এই লেখা সম্পর্কে একটা স্ক্রিনশট দেওয়া প্রয়োজন সেক্ষেত্রে পুরো স্ক্রিনের স্ক্রিনশট না নিয়ে যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই নিলে স্ক্রিনশটটা দেখতে সুন্দর লাগবে।
তাছাড়া একটি স্ক্রিনশট কোন ফোন থেকে নেওয়া হচ্ছে নাকি ডেক্সটপ থেকে নেওয়া হচ্ছে সেটা যেন বোঝা যায় সে হিসেব করি স্ক্রিনশট নিলে আর্টিকেলটি মানুষের কাছের ফোকাস করবে। তাছাড়া একটি স্ক্রিনশট নেওয়ার সময় কোন জায়গাটা দেখালে বেশি ভালো লাগবে আর কোন জায়গাটুকু দেখালে ভালো লাগবে না সেই হিসাব করে স্ক্রিনশট নিতে হবে।
স্ক্রিনশট নেয়ার টেকনিক
সব রকম ডিভাইসে স্ক্রিনশট নেওয়ার টেকনিক এক নয়।স্মার্ট ফোনের ক্ষেত্রে কিছু কিছু ডিভাইসে volume up বাটন আর volume down বাটন একসঙ্গে চেপে স্ক্রিনশট নেওয়া যায়। আবার কিছু কিছু ডিভাইসে volume up বাটন এবং power বাটন একসঙ্গে চেপে স্ক্রিনশট নেওয়া যায়।
আবার কিছু কিছু ডিভাইসে volume down বাটন এবং power বাটন একসঙ্গে চেপেও স্ক্রিনশট নেওয়া যায়।আমরা এমন অনেক ডিভাইস আছে যেখানেই স্কুলের উপর থেকে তিন আঙ্গুল দিয়ে আলতোভাবে উপর থেকে নিচে চাপলে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়ে যায়। ডেক্সটপে স্ক্রিনশট নেওয়ার উপায় অন্য রকম।
windows 10 বা 11 এর ক্ষেত্রে স্ক্রিনশট নিতে হলে একটা tools ব্যবহার করে স্ক্রিনশট নেওয়া যায়। tool টার নাম হচ্ছে Snipping Tool।এই টুল ব্যবহার করে স্ক্রিনশট নিতে হলে প্রথমে snipping tool টা ওপেন করতে হবে। এরপর new বাটনে চাপ দিলে আপনি কতটুকু অংশের ছবি তুলতে চান ততটুকু অংশ select করতে হবে।
এরপর স্কিনশটটি save করতে হলে save বাটনটি খুঁজে বের করতে হবে আর না পেলে ctlr+s এই দুইটা বাটন একসাথে চাপলেও save করার জায়গা চলে আসবে।তখন আপনি যেকোনো জায়গায় ছবিটা রাখার জন্য জায়গা select করতে পারবেন এবং স্ক্রিনশট নাম পরিবর্তন করতে পারবেন।
snipping tool দিয়ে স্ক্রিনশট নিলে স্ক্রিনশটের চারিধারে যে বাড়তি অংশ রয়েছে তা কেটে ফেলতে হলে ফটোশপের সাহায্য নিতে হয়। ফটোশপ দিয়ে স্ক্রিনশটটির বাইরের বেশি অংশগুলো কেটে ফেলতে হলে প্রথমে ফটোশপ ওপেন করতে হবে।এরপর ctrl+o বাটন চাপলে স্ক্রিনশট কোনটা আছে তা select করে ওপেন বাটনে ক্লিক করতে হবে।
এতে করে স্ক্রিনশটটি ফটোশপে ওপেন হয়ে যাবে। স্ক্রিনশট ফটোশপে নিয়ে আসার পর বাইরের যে বেশি অংশ গুলো রয়েছে সেগুলো কেটে ফেলতে হলে ফটোশপের মধ্যে যে crop tool রয়েছে সেটা দিয়ে স্ক্রিনশটটির যতটুকু অংশ আমাদের নেওয়া উচিত ততটুকু অংশ কেটে নিতে হবে।
crop tool select করার পর স্ক্রিনশটটির মধ্যে মাউস দিয়ে একবার left বাটনে চাপ দিয়ে clear ratio তে চাপ দিয়ে clear ratio করে নিতে হবে। এতে আপনি খুব সুন্দরভাবে select করা অংশটুকু crop করে কেটে নিতে পারবেন।
ওয়েবসাইটের স্ক্রিনশটে কোন কিছু মার্ক করতে হলে ফটোশপ থেকে brush tool নিয়ে মার্ক করে সেটা ফোকাস হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।তাছাড়া স্ক্রিনশট নেয়ার ক্ষেত্রে বর্তমানে ডেক্সটপে lightshot নামে একটি অ্যাপ রয়েছে। সেই অ্যাপ দিয়ে খুব সহজে ডেক্সটপ এ স্ক্রিনশট নেওয়া যায়।
স্ক্রিনশট চুরি ঠেকাতে করণীয়
অনেক সময় আমাদের ওয়েবসাইটের স্ক্রিনশট অন্যকে ব্যবহার করতে পারে। এটি প্রতিরোধ করতে হলে আমাদের স্ক্রিনশটের উপরে জলছাপ দিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটের নাম লিখে দিলে স্ক্রিনশট আর কেউ চুরি করার কথা চিন্তাও করবে না। তাই স্ক্রিনশটের উপরে ওয়েব সাইটের নাম লিখে দেওয়া আবশ্যক।
কোন স্ক্রিনশটে ওয়েব সাইটের নাম লেখার জন্য ফটোশপ থেকে text tool select করতে হবে। এরপর স্ক্রিনশটের উপরে মাউস দিয়ে একবার ক্লিক করতে হবে। স্ক্রিনশটের মধ্যে জলছাপ দিয়ে ওয়েব সাইটের নাম লিখতে হলে একটু ছোট করে লেখাই ভালো। এরপর লেখাটি কে আপনি যেভাবে রাখতে চান সেভাবে রাখতে পারেন।
এরপর লেখাটিকে জলছাপ করতে হলে ডান পাশে Layers অপশনে Opacity নামক স্থানে আপনি যতটুকু চান তত কম বেশি করতে পারেন। এতে লেখা জলছাপ কমবেশি করতে পারবেন। এরপর আপনি স্ক্রিনশটটিকে ভালোভাবে save করতে পারবেন।
আর্টিকেল মধ্যেই গ্রামাটিক্যাল এরর চেক করতে হয় কিভাবে
আর্টিকেল বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষাতেই লেখা যায়। কিন্তু আর্টিকেলের মধ্যে গ্রামাটিক্যালের এরর দুইভাবে চেক করা যায়। বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষার ক্ষেত্রে কিভাবে গ্রামাটিক্যাল চেক করতএ হয় তা আজকে আমরা জানতে পারবো।
ইংরেজি আর্টিকেল লেখার পরে আমরা যে কোন ব্রাউজার দিয়ে সেই আর্টিকেলের গ্রামাটিক্যাল এরর চেক করতে পারি। কিন্তু বাংলা ভাষায় আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে আমাদেরকে কিছু অ্যাপস বা এক্সটেনশন ব্যবহার করতে হয়।
বাংলার ক্ষেত্রে
বাংলাতে একটি পুরো আর্টিকেল লিখে নেওয়ার পরে আপনার কম্পিউটারের যদি অভ্র ইনস্টল করা থাকে তাহলে avro spell checker নামে একটি অ্যাপ ইনস্টল থাকবে। তারপর এই অ্যাপের মধ্যে আপনি যদি আপনার পুরো আর্টিকেলটি copy করে paste করে spell cheak নামক অপশনে ক্লিক করলে আর্টিকেলে বাংলা ভাষাতে কতগুলো ভুল রয়েছে সেগুলোকে ধরতে পারবেন।
ইংরেজির ক্ষেত্রে
আর্টিকেল লেখার সময় ইংরেজি ভাষা ভুল হলে এর ভুল ধরতে তেমন কোন কষ্ট করতে হয় না। ডেক্সটপে ইংরেজি ভাষা লেখার সময় যদি বানানে কোন ভুল হয় তাহলে সে বানের নিচে লাল রংয়ের দাগ পড়ে যায়। এতে আপনারা বুঝতে পারবেন যে বানানটি ভুল হয়েছে এবং আবার সঠিকভাবে লিখতে পারবেন।
কপিরাইটিং কি
কপিরাইটিং সম্পর্কে সবাই জানে যে কোনো কিছুর ওপর কোনো নির্দিষ্ট মানুষের স্বত্বাধিকার বা মালিকানা। কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে রাইটিং আসলে তা না। ডিজিটাল মার্কেটিং এ কপিরাইটিং এর কাজ হচ্ছে কোন আর্টিকেল লিখে বা কোন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পাঠকদের বা বিজ্ঞাপন দেখে ক্রেতাদের দৃষ্টিও মনোযোগ আকর্ষণ করা।
কপিরাইটিং কাকে বলে
Attention
যদি আপনি কোন সেবা মানুষকে দিতে চাচ্ছেন বা কোন সার্ভিস মানুষ কাছে পৌঁছে দিতে চাচ্ছেন, এই কাজটা করতে গিয়ে আপনি মানুষের মনোযোগকে কিভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করাচ্ছেন সেটাই মূলত এর প্রধান কাজ। সেটা আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমেও করতে পারেন আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন বিজ্ঞাপন দেওয়ার মাধ্যমে করতে পারেন। কিন্তু আপনার মূল লক্ষ্য হবে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করানো।
Promise
আপনি যখন কোন সেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দিবেন বা কোন পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে সে কোনটা মানুষের কাছে পৌঁছে দেবেন তখন সে পণ্য বা সেবা গ্রহণ করে মানুষের কি উপকার হচ্ছে বা কি উপকার হবে এটা যদি আপনি মানুষকে বিশ্বাস করাতে পারেন তাহলে আপনার সেই সেবা বা পণ্য মানুষ আরো বেশি বেশি করে গ্রহণ করবে।
Call to action
উপরের দুইটা অপশন পার করার পরে যখন সেই সেবা বা পণ্য মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে এই প্রক্রিয়াকেই call to action বলা হয়। মানুষ যে কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনার সেবা বা পণ্য গ্রহণ করতে চাইতে পারে। যেহেতু আপনি মানুষের কোন সেবা বা পণ্য বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এবং বিশ্বাস করিয়েছেন যে সে সে বাবা পণ্য ব্যবহারের ফলে মানুষ উপকৃত হবে তাহলে আপনাকে অবশ্যই সেই সেবা বা পণ্য যেভাবেই হোক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
Plagiarism কি
যদি আপনি কোন আর্টিকেল লিখেন এবং সে আর্টিকেলটি পুরোটাই অন্য কেউ কপি করে তার নিজের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে,কেউ আর্টিকেলটির পুরোটা না কপি করে অর্ধেক কপি করে, আবার কেউ পুরোটাও করেনি আবার অর্ধেকটাও করেনি কিছু কিছু অংশ কপি করে, আবার কেউ আর্টিকেলটির কিছু কিছু লাইন তার নিজের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করেছে কিন্তু আপনাকে কোন রকম ক্রেডিট দেয়নি এই সমস্ত কাজগুলোকে Plagiarism বলে।
Plagiarism কেন করবেন না
আসলে Plagiarism এর প্রধান মানে হচ্ছে কারো লেখা তাকে ক্রেডিট না দিয়ে চুরি করা। এটি একটি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আপনি যদি কারো লেখা চুরি করেন এবং তাকে ক্রেডিট না দেন তাহলে সে আপনার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিতে পারি। তাই এ সমস্ত চুরি করা থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।
আপনার লেখা কেউ চুরি করেছে কি না কিভাবে বুঝবেন
যদি আপনার মনে হয় আপনার কোন আর্টিকেল চুরি হয়েছে তাহলে প্রথমে সে আর্টিকেলের লিংকটা কপি করে নিবেন। এরপর আপনি copyscape.com নামে একটা ওয়েবসাইট আছে সেখানে চলে আসবেন। এরপর আপনি দেখবেন এখানে একটি সার্চ বক্স রয়েছে।
সেখানে আপনি আপনার copy করা লিংকটি paste করে দিবেন এবং go বাটনে চাপ দিবেন। যদি আপনার লেখা কেউ কপি না করে তাহলে no result found দেখাবে। আর যদি কেউ আপনার লেখা চুরি করে থাকে তাহলে কোন ওয়েবসাইট আপনার লেখা চুরি করেছ, কোন কোন লিখা চুরি করেছে সে সবকিছু আপনি দেখতে পাবেন।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠকগণ,আমরা আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে কম্পিউটারের কিছু টেকনিক সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি এ বিষয়ে কিছুটা হলেও ধারণা প্রদান করতে পেরেছি।
এতক্ষণ ধরে আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আরো বিভিন্ন বিষয় জানতে হলে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে ফলো দিয়ে রাখুন এবং আপনার পরিচিত জনের সাথে শেয়ার করুন।
ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url